খুলনার আদালতে প্রবেশের মূল ফটকে দু’খুনের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার অধিক সময় পার হলেও থানায় এখনও পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মোঃ রিপন ওরফে ইহুদি রিপনকে সোমবার দুপুরে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে তাকে নগরীর নতুন বাজার চর স্কুল গলি থেকে আটক করে পুলিশ। সে নতুন বাজার মাছ গলির বাসিন্দা জলিলের ছেলে।
খুলনা থানার এসআই আব্দুল হাই বলেন, “সোমবার রাতে তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করা হয়। থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তার কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের না হওয়ায় রিপনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মামলা দায়ের হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে এবং রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আটক রিপন বিলুপ্তি হওয়া ইহুদি বাহিনীর শীর্ষ সন্ত্রাসীর একজন। এ বাহিনীর প্রধান ক্রস ফায়ারে নিহত হওয়ার পর ২০০৩ সালে ইহুদি বাহিনী বিলুপ্ত হয়। তবে ওই গ্রুপের সদস্যরা অন্য গ্রুপে গিয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।”
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ মেঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, “হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাতে কোনো মামলা হয়নি। কয়েকজন আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত রবিবার দুপুরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান গেটের সামনের সড়কে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় হাসিব হাওলাদার এবং ফজলে রাব্বি রাজনকে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে খুলনার অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী রনি চৌধুরী বাবু ওরফে গ্রেনেড বাবুর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।”
খুলনা গেজেট/এনএম

